অনলাইন সীমাান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব নিকোলাই পাত্রুশেভ বলেছেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে ফাটল ধরানোর জন্য আমেরিকা চলমান সংঘাত সৃষ্টি করেছে। অথচ রাশিয়া ও ইউক্রেনের জনগণ একসময় কার্যকরভাবে একটি জনগোষ্ঠী ছিল।
রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক এ কর্মকর্তা দেশটির গোয়েন্দা বিভাগ এফএসবি’র পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। গতকাল (সোমবার) তিনি একটি দৈনিক পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
তিনি জোরালোভাবে দাবী করেন,”আমরা ইউক্রেনের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি না কারণ আমরা আক্ষরিক অর্থে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষকে ঘৃণা করি না। রাশিয়ার ইতিহাস-ঐতিহ্য ইউক্রেনের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার সুযোগ নেই।
ইউক্রেনে যে যুদ্ধ চলছে তা মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির জন্য আমেরিকা শুরু করেছে। তারা একটি জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে একে অপরের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ
পাত্রুশেভ বলেন, ইউক্রেনের যে সংঘাত চলছে তা মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যকার সংঘর্ষ নয় বরং এটি হচ্ছে আমেরিকা ও ব্রিটেন সর্বোপরি মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সঙ্গে রাশিয়ার সংঘাত। এই সংঘাতে সরাসরি ন্যাটো জোট সামনে না এসে ইউক্রেনের জনগণকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, রাশিয়ার সামরিক অভিযান থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা হলো পশ্চিমারা আমাদের ইউক্রেনের ভাইদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে এবং এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের জনগণকে নিঃশেষ করে দেয়ার প্রচেষ্টায় নেমেছে।”
এর আগে ইউক্রেনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে, তারা ন্যাটো জোটের পক্ষে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এর উদাহরণ হিসেবে পাত্রুশেভ গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভের একটি বক্তব্য তুলে ধরেন। ইউক্রেনের এ মন্ত্রী বলেছেন, কিয়েভ রাশিয়াকে ঠেকাতে ব্যস্ত কারণ মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের জন্য ইউরো-আটলান্টিক অঞ্চলে রাশিয়া সবচেয়ে বড় হুমকি।
Leave a Reply